গোপালভোগের আমের চেয়ে ১০ দিন পূর্বেই পাকা শুরু হয় গোবিন্দভোগ আম। গোবিন্দভোগ আমটি আকারে হিমসাগরের চেয়ে অনেক বড়। গড় ওজন ৩০০ গ্রাম থেকে ৩৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। দেখতে কিছুটা গোলাকার আর সামান্য চ্যাপ্টা। গোবিন্দভোগ আমি এর খোসা সামান্য পুরু হয়ে থাকে এবং শাঁস লাল-হলুদে মেশানো। পাকলে চমৎকার হলুদ রাং ধারণ করে।অনেকে মনে করে যে রং ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল যুক্ত। ১০০% কেমিক্যাল মুক্ত। এই আমটি খেতে অনেক সুস্বাদু।ভারতের নাদীয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় এই আম বেশি জন্মে। বাংলাদেশে আমের এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জ কানসাট বা রাজশাহী অঞ্চলে এটি দেখা খুব বেশি যায় না।
তবে ফলটির জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই জন্য অনেক চাষী এই গোবিন্দভোগ আম চাষ করছে। সাতক্ষীরা এলাকায় বহুকাল পূর্বে টাউন শ্রীপুরের দেবহাটা থানা) জমিদারগণ এই আমের জাত সংগ্রহ করে দেবহাটা এলাকায় রোপণ করেছিলেন। সেখান থেকে সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন থানায় এটি ছড়িয়ে গেছে। আমটি আশু জাতের। হিমসাগর আমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি হওয়ায় আমটিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা হিমসাগর বলে বিক্রি করে থাকে। সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা, সাতক্ষীরা শহর ও শহরতলি এলাকাসমূহ, কলারোয়া এবং কালীগঞ্জ এসকল উপজেলার বেশ কয়েকটি গোবিন্দভোগ আমের চাষ হচ্ছে। ঢকার বাজরে সবচেয়ে আগে এই আমটি আসে এবং দিন দিন চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সাতক্ষীরা অঞ্চলে গোবিন্দভোগ আমের চাষ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।